হিমালয়ের কন্যা পঞ্চগড়।ভারতীয় সীমান্ত ঘেরা এই জেলা প্রকৃতির রুপ লাবণ্যে ঘেরা।কথা প্রচলিত রয়েছে যদি শীত অনুভব করতে চাও, তাহলে শীত কালে পঞ্চগড় যাও।খুবই ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হচ্ছে পঞ্চগড়।সমতল ভূমিতে হচ্ছে চা চাষ।কমলা মালটা বাগান।হয়েছে তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। বাংলাদেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র এখন পঞ্চগড়ে।প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশকিছু চা ফেক্টরি।
পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলা পাথর উত্তোলন এর জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন শত শত পাথর ভর্তি ট্রাক এশিয়ান হাইওয়ের ওপর দিয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়।
পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে প্রাচীন নিদর্শন। প্রতিবছর অক্টোবর হতে নভেম্বর এর মাঝামাঝি সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থান হতে দেখা মিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ধীর গতিতে উন্নত হচ্ছে পঞ্চগড়।
শীতকালে মাঝে মাঝে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায়।
শীতকালে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তৈরি হয় খেজুর গুর দিয়ে তৈরি পিঠা।শীতের সকালে গাছিরা বিক্রি করে টাটকা খেজুরের রস।যা সকালেই পান করতে হয়। যত বেলা গড়িয়ে আসে তা মাদকদ্রব্যে পরিনত হয়।তীব্র শীত দমিয়ে রাখতে পারেনা তেঁতুলিয়া’র পাথর শ্রমিক দের ও পুরো পঞ্চগড় জেলার কৃষক ও শ্রমিকদের। অফিস আদালত চলে তার সঠিক নিয়মেই। পঞ্চগড় জেলায় রয়েছে কিছু প্রাচীন নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান।
পঞ্চগড় সদর উপজেলাঃ
বাংলাদেশের একমাত্র রক্স মিউজিয়াম (পাথরের জাদুঘর)রয়েছে পঞ্চগড়ে।রক্স মিউজিয়ামে রয়েছে বহু শতাব্দীর পুরোনো পাথর,নৌকা সহ আদিম মানুষের ব্যবহারিক বস্তু।মহারাজার দীঘি,মহারাণীর বাঁধ।পঞ্চগড় চিনিকল।হিমালয় পার্ক সহ আরো অনেক কিছু।
আটোয়ারী উপজেলারঃ মির্জাপুর শাহী মসজিদ, মির্জাপুর ইমাম পাড়া।বারো আউলিয়ার মাজার,ছাপড়াঝার মসজিদ ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।
বোদা উপজেলাঃ
শাল বাগান,রাঙ্গামাটি ফরেস্ট, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির,দেশের সর্ব বৃহৎ Y ব্রীজ এর নির্মান কাজ শুরু হয়েছে,মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাট Yব্রীজ।
দেবীগঞ্জ উপজেলাঃ
ময়নামতির চর,করতোয়া নদীতে চতুর্থ চীন মৈত্রী সেতু।দেবিগঞ্জ সোনা হার জমিদার বাড়ি।শত বছরের পুরানো জগবন্ধু ঠাকুর বাড়ি। গোলোকধাম মন্দির।
পর্ব-২ এর জন্য অপেক্ষা করুন…..