দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা : ত্রাণ উপদেষ্টা

  • স্মার্ট ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪২ বার পঠিত

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা প্রতি পরিবারকে নগদ অর্থ ও জীবিকা সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

তিনি জানান, খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা প্রদান করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১ হাজার টাকা এবং জীবিকা সহায়তায় ২ হাজার টাকা প্রদান করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করনীয় বিষয়ক বহুপাক্ষিক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৭৫টি উপজেলায় উল্লেখিত কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বিভিন্নভাবে অপুষ্টির শিকার। তিন বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ৭৫টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তিন বছরে ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বোচ্ছাসেবকসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছর আগস্টের বন্যায় উপদ্রুত এলাকার মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়।

বর্তমানে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব এই জলাবদ্ধতা দূর করে সেখানে জীবন জীবিকা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্। ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ঢাকা বিভাগ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিকরুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল খান, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর উর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ক্রিস্টাল আইস ও হেরোইন সহ ১ জন কে গ্রেফতার করেছে বিজিবি

দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা : ত্রাণ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৪:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা প্রতি পরিবারকে নগদ অর্থ ও জীবিকা সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

তিনি জানান, খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা প্রদান করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১ হাজার টাকা এবং জীবিকা সহায়তায় ২ হাজার টাকা প্রদান করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করনীয় বিষয়ক বহুপাক্ষিক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৭৫টি উপজেলায় উল্লেখিত কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বিভিন্নভাবে অপুষ্টির শিকার। তিন বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ৭৫টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তিন বছরে ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বোচ্ছাসেবকসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছর আগস্টের বন্যায় উপদ্রুত এলাকার মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়।

বর্তমানে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব এই জলাবদ্ধতা দূর করে সেখানে জীবন জীবিকা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্। ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ঢাকা বিভাগ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিকরুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল খান, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর উর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।