ইতিহাস বদলে দেবার জন্য যার জন্মঃ
—-এফ, ইসলাম ফারুক
মদিনার ইসলাম নয়, জামায়াতে ইসলামী মওদূদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা।
যখন হেফাজত নেতা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী মত এত বড় জ্ঞান পাপীরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনসম্মুখে বিষোদগার করেন, তখন সাধারণরা বিভ্রান্ত হবেন বৈকি??
এতবড় নেতা!! তার লিখা পড়ার পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন ছিলো। মওলানা মুওদুদী সম্পর্কেও তার বিস্তর জানাশোনার প্রয়োজন ছিলো।
ইতিহাস স্বাক্ষী ইসলামের ঐক্যের ব্যাপারে, ইসলাম কায়েমের ব্যাপারে অমুসলিমরা যত না দায়ী তার থেকে বেশী দায়ী এই তথাকথিত আলেম ওলামারা।
কারণ সাধারণেরা চেয়ে থাকেন এই তথাকথিত আলেম ওলামাদের মুখের দিকে।
তাদের মুখনিঃসৃত এক একটি কথাই যেন তাদের নিকট বাণী।
আর তাদের এই বিদ্বেষ প্রসূত অসতর্কতা মুলক বক্তব্যের কারণে কাল কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ্ তা’য়ালার সন্মুখে কি ছাফাই তারা গান আমরা তা দেখতে চাই,,,
১৯৪১ সালে ২৬ আগস্ট ভারত বর্ষের লাহোরে মাত্র ৭৫ জন আলেম নিয়ে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী তার রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটান।
বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী রাজনৈতিক যে ধারা অব্যাহত আছে তা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর দেখানো পথেই চলছে…
আজ কওমীরাসহ যে বা যারাই ইসলামী রাজনীতির পথে ফিরে এসেছেন তা সবই মাওলানা মওদূদীর অবদান।
মুসলমানদের নবী সমস্যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন যে গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানী, কওমীদের অভিযোগের তীর গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানীর দিকে নিক্ষিপ্ত না হয়ে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর দিকে তাক করেছে…
কারণ তিনি উম্মতের বৃহত্তর ঐক্যের প্রচেষ্টায় “কাদিয়ানী সমস্যা ” নামক বই লিখে পাকিস্তান সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
যে কিনা মুসলিম উম্মাহর পক্ষে কলম ধরলেন তাকেই কিনা অপরাধীর কাতারে দোষী সাব্যস্ত করা হলো!!
গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানী আর কওমীরা মুলত একই কারখানার প্রডাকশন।
আর তা হচ্ছে ” দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা “।
এই দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাসেম নানুতুবী মুলত পূর্ব থেকেই নবীর পরে নবী আসতে পারে এই ধারণায় বিশ্বাসী অর্থ্যাৎ কাদিয়ানী ঘরনার লোক। আর গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানী ছিল মাওলানা কাসেম নানুতুবীর ছাত্র।
মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য বৃটিশ সরকার এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছিল।
আর এটা বৃটিশদের একটা ষড়যন্ত্রেরও অংশ ছিল।
এবং তারা সফলও হয়েছিল।
তাদের ধারণা ছিল ইসলামের মুল স্পীড খতম করে দিতে পারলে মুসলমানরা শুধু আকাশের উপর আর মাটির নীচের জিন্দেগী নিয়েই ফিকির করবে।
মাঝখানটায় যেহেতু দুনিয়া আর দুনিয়া নিয়েই তাদের কাজকারবার তাই তাদের শাসনকে নিরাপদ করবার জন্যই এই দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছিল।
সময়ের প্রয়োজনেই একজন মাওলানা আবুল আ’লা মওদূদীর সৃষ্টি হয়।
তার আবির্ভাব না হলে মুসলিম উম্মাহর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত।
বাংলাদেশে খতমে নবুয়ত নামে যতগুলো সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে তাদের বিশেষ কোন কর্মসূচি নেই। আল্লাহর আইন, আল্লাহর বিধান, আল্লাহর শাসন
বাস্তবায়নের জন্য তারা তেমন কোন তৎপর নয়। মদ, জুয়া, সুদ, ব্যাভিচার বন্ধে তাদের কোন কার্যকর কর্মসূচি নেই।
যত ফতোয়া সব ঐ মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে…
কারণ মাওলানাই সর্বপ্রথম কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে বই লিখেছিলেন।
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এখানেও তারা একই নীতি অবলম্বন করেছে।
তাই তারা সকলে মিলে সত্য মিথ্যের তোয়াক্কা না করে অন্ধের মতো মাওলানা মওদূদীর বিরোধিতায় শামিল হয়েছে।
ক্বওমী সবগুলো আলেমদের বলছি, আপনাদের যদি বুকের পাটা থাকে!তাহলে এই আয়াত গুলির সঠিক তাফসির করে দেখান দেখি??
” যখন আল্লাহর সাহায্য এবং বিজয় এসে যায়।
আপনি দেখতে পান, দলে দলে লোক দ্বীনের মধ্যে দাখিল হচ্ছে।
তখন আপনি সুমহান রবের প্রশংসাসহ তাসবী এবং আস্তা গাফফার পাঠ করুন।
নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুল কারী।
(সুরাঃ নসর)
এই আয়াতের যদি সঠিক অর্থ করতে পারেন??
আশাকরি আপনার মনের মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে বিতর্কের অবসান হবে…
মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় প্রতিনিধি