রামপাল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি

রামপাল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পকে পরিবেশ বিধ্বংসী উল্লেখ করে এগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন নেতারা। তারা বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশ এবং বিদ্যমান কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা রাখতে হবে। একই সঙ্গে মিথ্যা সমাধান বা অপ্রমাণিত প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৩’-এর চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা।

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সহআহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল। তিনি বলেন, জনগণের জরুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত প্রচারাভিযান বাংলাদেশে জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ’। ওই সমাবেশে উত্থাপিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি ও সুপারিশগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে পরিবেশ সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইআরডিএ) নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি বিভাগের উপপরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা-এর সমন্বয়ক মো. নূর আলম শেখ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, গ্লোবাল ল’থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রওমান স্মিতা, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমুখ।

ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘মাতারবাড়ী ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আমরা দায়ী। আমরা কেন এই জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম?’ তিনি বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। স্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে জলবায়ু তহবিলের অর্থের ব্যয়ের দুর্নীতি বন্ধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যাশনাল ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থায়নের খরচে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিষয় :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ক্রিস্টাল আইস ও হেরোইন সহ ১ জন কে গ্রেফতার করেছে বিজিবি

রামপাল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি

প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রামপাল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পকে পরিবেশ বিধ্বংসী উল্লেখ করে এগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন নেতারা। তারা বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশ এবং বিদ্যমান কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা রাখতে হবে। একই সঙ্গে মিথ্যা সমাধান বা অপ্রমাণিত প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৩’-এর চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা।

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সহআহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল। তিনি বলেন, জনগণের জরুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত প্রচারাভিযান বাংলাদেশে জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ’। ওই সমাবেশে উত্থাপিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি ও সুপারিশগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে পরিবেশ সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইআরডিএ) নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি বিভাগের উপপরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা-এর সমন্বয়ক মো. নূর আলম শেখ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, গ্লোবাল ল’থিংকারস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রওমান স্মিতা, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমুখ।

ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘মাতারবাড়ী ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আমরা দায়ী। আমরা কেন এই জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম?’ তিনি বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। স্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে জলবায়ু তহবিলের অর্থের ব্যয়ের দুর্নীতি বন্ধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যাশনাল ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থায়নের খরচে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।