নির্বাচন কবে হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • স্মার্ট ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পঠিত

নিবাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কখন হবে তা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ড. ইউনূস বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ফাঁকে তিনি এ সাক্ষাতকার দেন।

তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকারে মূল লক্ষ্য সংস্কারকাজ ও যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। তাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্য নেই।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘদিন থাকতে আসিনি। আমাদের কাজ যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশ সংস্কার ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়ন করব। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এ অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তরুণরা সফলভাবে তাদের চাওয়া পাওয়া উপস্থাপন করতে পেরেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, ছাত্ররা জানতো তারা কি চায়। তারা তাদের সেই চাওয়াকে সফলভাবে উপস্থাপনও করতে পেরেছে। নীতিনির্ধারণে তাদের মতামত ও চিন্তাভাবনা জরুরি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

এর আগে সম্প্রতি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, দেশে চলমান সংস্কার সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবেন; তাতে যাই হোক না কেন। এ ছাড়া আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারেও তিনি সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে, একটি সময়সীমার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।’ সংস্কারের পর দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি ধৈর্য ধরার ওপর গুরুত্ব দেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ক্রিস্টাল আইস ও হেরোইন সহ ১ জন কে গ্রেফতার করেছে বিজিবি

নির্বাচন কবে হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিবাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন দ্রুত অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কখন হবে তা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ড. ইউনূস বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ফাঁকে তিনি এ সাক্ষাতকার দেন।

তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকারে মূল লক্ষ্য সংস্কারকাজ ও যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। তাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্য নেই।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘদিন থাকতে আসিনি। আমাদের কাজ যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশ সংস্কার ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়ন করব। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এ অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তরুণরা সফলভাবে তাদের চাওয়া পাওয়া উপস্থাপন করতে পেরেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, ছাত্ররা জানতো তারা কি চায়। তারা তাদের সেই চাওয়াকে সফলভাবে উপস্থাপনও করতে পেরেছে। নীতিনির্ধারণে তাদের মতামত ও চিন্তাভাবনা জরুরি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

এর আগে সম্প্রতি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, দেশে চলমান সংস্কার সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবেন; তাতে যাই হোক না কেন। এ ছাড়া আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারেও তিনি সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে, একটি সময়সীমার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।’ সংস্কারের পর দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি ধৈর্য ধরার ওপর গুরুত্ব দেন।