বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৫টার দিকে উপজেলার সীমান্ত পিলারের চরবোয়ালমারী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবির গয়াটাপাড়া ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকৃতরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মোফাজ্জল হোসেন (২৯), ফুলপুর উপজেলার নবী হোসেন (২৬), একই উপজেলার ফুরকান আলী (২৯), কাতলী গ্রামের হযরত আলী (২৯), চর গোয়া ডাংঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯), একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ওলি উল্লাহ (২৫), ভালুকা উপজেলার ওবায়দী হাসান (২২), নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার আরিফ হোসাইন (২৯), জামালপুর জেলার মানিক মিয়া (২৯), নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা উপজেলার মিজানুর রহমান (২৩), কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার আশরাফুল আলম (২৬) ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনির হোসেন (৩২)।
আটকৃতদের বরাদ দিয়ে বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন জানান, আটককৃতরা এর আগে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে কাজের সন্ধানে যান। পরে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যর একুয়ের নামের একটি গার্মেন্টসে তারা কাজ করছিলেন। গার্মেন্টসটি বন্ধ হওয়ায় তারা বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের আসাম রাজ্যের হাটশিংঙ্গিমারী জেলা পুলিশের কাছে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আটক হন।
তিনি বলেন, ভারতীয় পুলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুকুসমারা ক্যাম্পের বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। বিএসএফ ভোরে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০৫৮ নম্বর মেইন পিলারের চরবোয়ালমারী দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা ওই ১২ যুবককে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে রৌমারী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা ।
রৌমারী থানার ওসি মো. মামুনুর রশীদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিজিবি সদস্য বাদী হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।