কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির দায়েরকৃত মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়া তা না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় রাণিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন, দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির ওই বৈঠকে হামলা চালানো হয়।
এতে বিএনপি কর্মী মোনারুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, লুৎফর রহমান,কপিল উদ্দিনসহ ছয় জন আহত হন। হামলায় মোনারুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হলে তার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসলাম মিয়া বাদী হয়ে ১১জনকে আসামি করে চিলমারী থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী আসলাম মিয়া জানান, হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাণিগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপিকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা বৈঠকের আয়োজন করি। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী আমাকে রক্ষা করতে গেলে আহত হয়। এজন্য আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ওনার অনুপস্থিতে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।