বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

  • স্মার্ট ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩৯ বার পঠিত

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অপেক্ষা করছে। বে-টার্মিনাল চালু হলে আমাদের আয় আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে। তাই কোনভাবেই বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। বহু বছর পরে এ কার্যক্রম বহুগুণে বেড়ে যাবে। বর্তমানে প্রতি কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর জন্য আমরা প্রায় ১৮ ডলার পাচ্ছি। হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাড়লে আয়ও বহুগুণ বেড়ে যাবে।গত কাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল এবং লালদিয়ার চর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে অভিযোগ ছিলো জাহাজ আনলোড করে বন্দর ছেড়ে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগে। সেজন্য আজকে আমি একটা জাহাজ পরিদর্শন করেছি এবং ক্যাপ্টেনের সাথে কথা বলেছি। তাদের মতে ম্যানুয়ালি আনলোড করতে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। যদিও এখন আগের তুলনায় লোড আনলোডের সময় অনেক কমে এসেছে। লোড আনলোডে যদি অটোমেশন আনতে পারি তবে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।
উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। এখানে যে ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল তা দূর করা না গেলে আমাদের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে। সে জন্যই আমি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসেছি। পোর্টের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, পোর্টের অব্যবস্থাপনার জন্য পোর্ট একা দায়ী নয়। এখানে এখনো ২০ বছরের পুরাতন কন্টেইনার, ১২ থেকে ১৪ বছরের গাড়ি পড়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে পোর্টের কার্যকারিতা বাড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। পড়ে থাকা কন্টেইনার বা গাড়ি নিলাম করার কাজ এনবিআরের। আমি নোট নিয়েছি, কিভাবে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়। এ নিয়ে এনবিআরের চেয়াম্যানের সাথে কথা বলবো।
এসময় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন যে কোন সেক্টরের অনিয়ম, দুর্নীতিসহ সকল অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয়

ক্রিস্টাল আইস ও হেরোইন সহ ১ জন কে গ্রেফতার করেছে বিজিবি

বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অপেক্ষা করছে। বে-টার্মিনাল চালু হলে আমাদের আয় আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে। তাই কোনভাবেই বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। বহু বছর পরে এ কার্যক্রম বহুগুণে বেড়ে যাবে। বর্তমানে প্রতি কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর জন্য আমরা প্রায় ১৮ ডলার পাচ্ছি। হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাড়লে আয়ও বহুগুণ বেড়ে যাবে।গত কাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল এবং লালদিয়ার চর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে অভিযোগ ছিলো জাহাজ আনলোড করে বন্দর ছেড়ে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগে। সেজন্য আজকে আমি একটা জাহাজ পরিদর্শন করেছি এবং ক্যাপ্টেনের সাথে কথা বলেছি। তাদের মতে ম্যানুয়ালি আনলোড করতে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। যদিও এখন আগের তুলনায় লোড আনলোডের সময় অনেক কমে এসেছে। লোড আনলোডে যদি অটোমেশন আনতে পারি তবে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।
উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। এখানে যে ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল তা দূর করা না গেলে আমাদের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে। সে জন্যই আমি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসেছি। পোর্টের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, পোর্টের অব্যবস্থাপনার জন্য পোর্ট একা দায়ী নয়। এখানে এখনো ২০ বছরের পুরাতন কন্টেইনার, ১২ থেকে ১৪ বছরের গাড়ি পড়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে পোর্টের কার্যকারিতা বাড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। পড়ে থাকা কন্টেইনার বা গাড়ি নিলাম করার কাজ এনবিআরের। আমি নোট নিয়েছি, কিভাবে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়। এ নিয়ে এনবিআরের চেয়াম্যানের সাথে কথা বলবো।
এসময় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন যে কোন সেক্টরের অনিয়ম, দুর্নীতিসহ সকল অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।