এন্টিবায়োটিক এমন এক উপাদান যা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। আবার নিয়ম মাফিক সেবন না করলে উক্ত এন্টিবায়োটিক শরীরে রেজিস্ট্যান্স হতে পারে।যা পরবর্তীতে আর শরীরে কাজ করবে না। এন্টিবায়োটিক এর নিয়ম সঠিক ভাবে মেনে সেবন না করলে শরীরে হতে পারে নানা মুখী সমস্যা। যেমন ওজন বৃদ্ধি, উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের কারন,টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া,যে কোনো রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়া।
এন্টিবায়োটিক এক ধরনের বিষ, তবে উপকারী মেডিসিন বটে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকগণ মনে করছেন এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার সঠিকভাবে না হলে মানব জাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে শুধু মাত্র এই এন্টিবায়োটিক এর কারনে।তাই এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার বন্ধ করা খুবই জরুরী।
কিন্তু প্রতিদিন চোখে পড়ছে এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার।প্রেসক্রিপশন ছাড়া মুড়ি মুরকির মত বিক্রি হচ্ছে এন্টিবায়োটিক, সহ নানা মুখী মেডিসিন বা ঔষধ। কিন্তু রোগের উপর ওজনের উপর বয়সের উপর নির্ভর করে এন্টিবায়োটিক এর ডোজ ও সেবন প্রক্রিয়া।যা নির্ধারন করে এক জন চিকিৎসক। রোগীরা বুঝতেই পারেনা নিয়ম মেনে মেডিসিন সেবন না করে কতটা ঝুকিতে পড়ছে নিজের জীবন।নিজেই নিজের মৃত্যুর কারন হয়ে উঠেছে অনেকেই।
এভাবে চলতে থাকলে এক সময় শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার এর কারনে তৈরি হচ্ছে জেনারেশন এর পরে জেনারেশন এন্টিবায়োটিক। এখনেই কোটি কোটি মানুষের শরীরে কাজ করছে না এন্টিবায়োটিক।