কুড়িগ্রামে অল্প খরচে উন্নত জাতের বেগুন চাষে কয়েক গুণ লাভের আশা

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলাতে এক একর জমিতে উচ্চফলনশীল পার্পল কিং জাতের বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক কৃষক। বেগুন চাষ করে তিনি পাঁচ মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সাববাঁধ এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার বীজ, সার ও নগদ অর্থ পেয়ে এই বেগুন চাষ করেছেন। এখন তিনি গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মণ বেগুন বিক্রি করছেন। এতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন।

কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার উপজেলায় রবি মৌসুমে সাড়ে ৫ শ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি রয়েছে।

কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বেগুন চাষ শুরু করতে এখন পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এরই মধ্যে বিক্রি করেছি প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন।

তিনি আরও বলেন, বন্যা আসার আগ পর্যন্ত আমার জমিতে বেগুন ক্ষেত থাকবে। আমি আশা করছি ৫ মাসে আড়াই লাখ টাকারও বেশি বেগুন বিক্রি করতে পারবো। কৃষি অফিস আমাকে সহযোগিতা করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম, জসিম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন কৃষক রবিউলের বেগুন ভালো হয়েছে। একটি বেগুন লাউয়ের মতো। তাই দেখতে এসেছি। আগামীতে আমরাও বেগুন চাষ করবে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের প্রকল্পের আওতায় রবিউল ইসলামকে সরকারি প্রণোদনার বীজ, সারসহ নগদ কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ দিয়ে তিনি পার্পল কিং জাতের বেগুন চাষ শুরু করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, ওই কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এক একর জমিতে বেগুন লাগানোর জন্য বীজ সার দেওয়া হয়েছে। আশা করি তিনি বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হবেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কৃষকদেরও প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।

বিষয় :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

কুড়িগ্রামে অল্প খরচে উন্নত জাতের বেগুন চাষে কয়েক গুণ লাভের আশা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলাতে এক একর জমিতে উচ্চফলনশীল পার্পল কিং জাতের বেগুন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক কৃষক। বেগুন চাষ করে তিনি পাঁচ মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সাববাঁধ এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার বীজ, সার ও নগদ অর্থ পেয়ে এই বেগুন চাষ করেছেন। এখন তিনি গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মণ বেগুন বিক্রি করছেন। এতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন।

কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার উপজেলায় রবি মৌসুমে সাড়ে ৫ শ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি রয়েছে।

কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, বেগুন চাষ শুরু করতে এখন পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এরই মধ্যে বিক্রি করেছি প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেগুন।

তিনি আরও বলেন, বন্যা আসার আগ পর্যন্ত আমার জমিতে বেগুন ক্ষেত থাকবে। আমি আশা করছি ৫ মাসে আড়াই লাখ টাকারও বেশি বেগুন বিক্রি করতে পারবো। কৃষি অফিস আমাকে সহযোগিতা করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম, জসিম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন কৃষক রবিউলের বেগুন ভালো হয়েছে। একটি বেগুন লাউয়ের মতো। তাই দেখতে এসেছি। আগামীতে আমরাও বেগুন চাষ করবে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের প্রকল্পের আওতায় রবিউল ইসলামকে সরকারি প্রণোদনার বীজ, সারসহ নগদ কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ দিয়ে তিনি পার্পল কিং জাতের বেগুন চাষ শুরু করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, ওই কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এক একর জমিতে বেগুন লাগানোর জন্য বীজ সার দেওয়া হয়েছে। আশা করি তিনি বেগুন চাষ করে বেশ লাভবান হবেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কৃষকদেরও প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।