স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে,বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে,জনগণের কাছে ন্যায্যমূল্যে সবজি তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে ন্যায্য মূল্যের বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়। সরাসরি খেত থেকে চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদিত সবজি সহ নানা ধরনের পণ্য কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে এই বাজারে।
পঞ্চগড় জেলা অডিটোরিয়াম চত্বরে বৃহস্পতিবার সকালে এই বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।ন্যায্যমূল্যে’র এই বাজারে সকাল থেকেই জনসাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাজার কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছে সম্মিলিত সেচ্ছাসেবীরা।
অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র। স্বেচ্ছাসেবীরা চাষিদের খেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজার মূল্য থেকে কম মূল্যে বিক্রি করছে। বাজারে আলুর কেজি ৭৫ টাকা হলেও ন্যায্যমূল্যের বাজারে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে প্রতি পিস লাউ ২০ টাকা, সিম ৬০ টাকা, করলা ২০, মরিচ ৬৫, বাঁধা কপি ৪০, লাল শাক ৩০, মুলা ৩৫, ডাটা ১৮, পেয়াজ ৮০, বেগুন ২০, পালং শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজার থেকে অন্তত: ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে নানা ধরনের শাক সবজি বিক্রি হচ্ছে । সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। এতে ক্রেতারা খুশি। তারা বলছেন আরও দোকান এবং পণ্য বাড়ালে সুবিধা হবে।
সেই সাথে সপ্তাহের প্রতিদিনই ন্যায্য মূল্যের বাজার পরিচালনা করার দাবি জানান ক্রেতারা। রামের ডাঙ্গা এলাকার আব্দুর রশিদ (৬০) জানান, বাজারের থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা কম মূল্যে শাক সবজি কিনতে পারছি। তবে আরও দোকানের প্রয়োজন আছে। আর সপ্তাহের প্রতিদিনই বাজার বসলে ভালো হয়। এই বাজারে আমরা টাটকা শাক সবজি পাচ্ছি। সেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব জানান, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দোকান পরিচালনা করছে। তারা অধিকাংশই ছাত্র। আমরা সিন্ডিকেট ভাংতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে কম মূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে
তাই এই দোকানে কাজ করছি। প্রতিদিন ভোর বেলা কৃষকের সবজি খেত থেকে আমরা সবজি কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি। এতে মধ্য স্বত্বভোগীরা অতি মুনাফা করতে পারছেনা। কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে । একই সাথে সাধারণ মানুষও কম দামে শাক সবজি কিনতে পারছে। বাজারে দরিদ্র পরিবারদের জন্য সবজি দান বাক্সও আছে। ক্রেতারা ইচ্ছে করলে দরিদ্রদের জন্য সবজি কিনে দানও করতে পারবেন। এদিকে আলুর সিন্ডিকেট ভাংতে বিভিন্ন কোলেস্টরেল থেকে বুধবার ১৪ টন আলু কিনেছে জেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ওই আলু কম দামে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য মূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে তাই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চাহিদা, যৌক্তিকতা এবং উদ্যোক্তা পেলে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত করা হবে।