বিচারিক ক্ষমতা পেলো নৌ ও বিমান বাহিনী

  • স্মার্ট ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৮ বার পঠিত

Oplus_0

আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের এই ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে সেনা বাহিনীর পাশাপাশি বিমান ও নৌ বাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররাও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছিল ওই তারিখের পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। এ সব এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন।

পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এবার এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার) দেওয়া হলো।

নতুন প্রজ্ঞাপনে এসব বিষয় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারেন।

পাশাপাশি জরিমানা করা, জেল দেওয়াসহ বিভিন্ন বিচারকার্যও করতে পারেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে সেনা বাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এরপর ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এদিকে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ও খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। বিভিন্ন খাতের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অনেকে ক্ষেত্রে কর্মীরা জোর করে তাদের দাবি দাওয়া আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় বিক্ষুদ্ধ জনগণ আটককৃত আসামিদের ওপর হামলা করছে। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে কলকারখানা ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করছে। মাজার, মন্দির ভাঙচুরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

এজন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিচারিক ক্ষমতা পেলো নৌ ও বিমান বাহিনী

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের এই ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে সেনা বাহিনীর পাশাপাশি বিমান ও নৌ বাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররাও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছিল ওই তারিখের পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো। এ সব এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন।

পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এবার এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ধ্ব সমপদমর্যাদার) দেওয়া হলো।

নতুন প্রজ্ঞাপনে এসব বিষয় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারেন।

পাশাপাশি জরিমানা করা, জেল দেওয়াসহ বিভিন্ন বিচারকার্যও করতে পারেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে সেনা বাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এরপর ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এদিকে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ও খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। বিভিন্ন খাতের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অনেকে ক্ষেত্রে কর্মীরা জোর করে তাদের দাবি দাওয়া আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় বিক্ষুদ্ধ জনগণ আটককৃত আসামিদের ওপর হামলা করছে। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে কলকারখানা ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করছে। মাজার, মন্দির ভাঙচুরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

এজন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।