সম্পাদকীয়
মানব জীবনে একটা অংশ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ। সামান্য লোডশেডিং হলে অতিষ্ঠ হয়ে পরে জনজীবন। লোডশেডিং এর হাজারো কারন থাকতে পারে, ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কারন হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা।কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ ইন্টারনেট লাইনের কারনে মাঝে মাঝে লোডশেডিং হয়ে থাকে। দেশের প্রায় সব এলাকাতেই বিদ্যুৎ খুঁটির সাথে ইন্টারনেট এর তার চোখে পড়ে। জনগণ ইন্টারনেটের সুবিধা পেলেও ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল হতে রক্ষা পায়নি বিদ্যুৎ খুঁটি গুলি। ঝুলন্ত ও অবৈধ তার যেমন দেখতে খারাপ লাগে নগরায়নের সৌন্দর্য নষ্ট করে ঠিক তেমন ভাবে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার থেকে শুরু করে তারে আগুন লেগে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। এ জন্য ইন্টারনেট, সিসি ক্যামেরা এবং ক্যাবল টিভির (ডিশ লাইন) তার টানতে বিদ্যুতের খুঁটি ছেড়ে পৃথক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে সচেতন মহলে। যাতে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধার পাশাপাশি দুর্ঘটনামুক্ত থাকতে পারেন দেশবাসী।
ছবি অনলাইন হতে নেয়া
বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে টেলিফোন এবং সিটি করপোরেশনের লাইটের খুঁটি বছরের পর বছর ব্যবহার করছে এসব কোম্পানি। এতে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হলে ওই তারের কারণে খুঁটিতে ওঠানামা করা বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
বিদ্যুৎতের খুঁটিতে ইন্টারনেট তার টানার কোনো নিয়ম বা বৈধতা নাই।
এক ধরনের প্রভাব বিস্তার করেই চলছে বিদ্যুৎতের খুঁটিতে ইন্টারনেটের তার টানা।
অনেক সময় অদক্ষ ইন্টারনেট লাইনমেনের ভুলের কারনে বিদ্যুৎ খুঁটির তারের জঞ্জাল সৃষ্টি হয় এবং অগ্নি-দূর্ঘটনা ঘটে বিস্ফোরণ হয় ট্রান্সফরমার।অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় গ্রাহকের।
আবার কিছু কিছু খুঁটিতে ইন্টারনেট সংযোগ মেরামত ও নতুন সংযোগ স্থাপনের কারনেই লোডশেডিং এর ভোগান্তি হয় জনসাধারণের।
হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করছে ইন্টারনেট কোম্পানি বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে। ইন্টারনেট কোম্পানির সাথে বিদ্যুৎ অফিসের কোনো ভাড়া বা চুক্তি পত্র এখনো নজরে আসে নাই আমাদের।তাহলে কি ইন্টারনেট কোম্পানি গুলো বাংলাদেশের বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার কোটি টাকা।
নজর রাখুন পর্ব ২ এর জন্য।